বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০১১

আমার হাড় কালা করলাম রে

ও মনো রে হাইল্যা লকের লাঙ্গল বাকাঁ জনম বাকাঁ চাদঁ রে|| তার চাইতে অধিক বাকাঁ হায় হায় যারে দিছি প্রাণ রে দুরন্ত পরবাসে আমার হাড় কালা করলাম রে আরে আমার দেহ কালার লাইগারে ওরে অন্তর কালা করলাম রে দুরন্ত পরবাসে || মনো রে কূল বাকাঁ গাঙ বাকাঁ বাকাঁ গাঙের পানি রে || সকল বাকাঁয় বায়লাম নৌকা হায় হায় তবু বাকাঁ রে না জানি দুরন্ত পরবাসে মনো রে হাড় হইলো জড়োজড়ো আমার অন্তর হইল পোড়া রে || পিড়িতি ভাঙ্গিয়া গেলে হায় হায় নাহি লাগে জোড়া রে দুরন্ত পরবাসে

নাগরিক কবিয়াল

আমি নাগরিক কবিয়াল, করি গানের ধর্ম পালন
সকলে ভাবছে লিখছে সুমন, আসলে লিখছে লালন।

আমার গানের আনাচে কানাচে, কন্ঠী বদলে বোষ্টমি আছে
তার পিড়িতে ডুবল আমার, গীটারের আস্ফালন।

সামলে রাখিস বোষ্টমী তোর, বুকের মধ্যে আমার পাঁজর
তোর দরিয়ায় ডুবলো আমার, পাগলামি আস্ফালন।

মানুষ আমার সাধন গুরু, সেই মোকামেই যাত্রা শুরু
চলনে গান সংগে থাকে, বলনে আস্ফালন।

নড়ছে চরছে মাথার মধ্যে, খানিক গদ্যে খানিক পদ্যে
কয়রে কথা দেয়না দেখা, নাছোরবান্দা লালন।




Written by: Drop Dream

পছন্দের গান ~ সুমন চট্টোপাধ্যায়

এই যে দেখছি আবছায়াটাই লাগছে ভালো
ঘরের কোনে একটি মাত্র মোমের আলো
কার তাতে কি?
আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি
আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি
কার তাতে কি?

এই যে দেখছি স্বন্ধ্যেছটায় আকাশ জোড়া
গড়ের মাঠে ছুটেছে রংগের পাগলা ঘোড়া
কার তাতে কি?
আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি
আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি
কার তাতে কি?

এই যে দেখছি কাগজ দিয়ে তৈরি ফুলে
পরাগরেনু আপনি জাগে তোমায় ছুঁলে
কার তাতে কি?
আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি
আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি
কার তাতে কি?

এই যে দেখছি আদ্যিকালের দেয়াল ফুঁড়ে
জংলা গাছের বাচ্চা খেলে হাত পা জুড়ে
কার তাতে কি?
আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি
আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি
কার তাতে কি?

এই যে দেখছি ক্লাস পালিয়ে লেকের ধারে
ডানপিটেরা আজও ভালবাসতে পারে
কার তাতে কি?
আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি
আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি
কার তাতে কি?

এই যে দেখেছি কারো কারুর জ্যন্ত চোখে
ধান্ধাবাজি ছেড়েও অন্য স্বপ্ন ধুকে
কার তাতে কি?
আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি
আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি
কার তাতে কি?



Written by: Drop Dream

গানওয়ালা _________ কবীর সুমন

গাইলে তুমি ইচ্ছে করে গাইতে মন আমার,
গানটা শুনে গুণগুনিয়ে, গানটা হোক সবার,
গাইলে তুমি পাই খুঁজে সময়ের ঠিকানা,
গানওলা, ও গানওলা, গান থামিও না।
চাই না শুনতে গানটা ছাড়া অন্য কিছু আর
চাই না বুঝতে ষ্টেজে কেন উঠছ না কো আর।
চাই না জানতে যুক্তি, তক্কো, কোন রটনা
গানওলা, ও গানওলা, গান থামিও না।
গান শুনে তোমার গানের কাছে চলে আসা
গানে গানে পরিচয়, গানেই কাছে থাকা।
চাই না শুনতে অন্য কোন কথা অচেনা
চেনা দুঃখ, চেনা সুখের গান থামিও না।

রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০১১

চ্যাপ্টা গোলাপ

স্কুলের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে মেয়েটা
ছেলেটা দৌড়ে দৌড়ে এসে হাঁপায়
স্কুলের বাসটা হর্ন দিয়ে যায় তিনবার
মেয়েটা দৌড়ে দৌড়ে চলে যায়
স্কুলের ব্যাগটা কাঁধে তুলে নিয়ে ছেলেটা
হাঁপাতে হাঁপাতে আবার হাঁটা দেয়
বাসের ভেতর জানলার কাছে ঝাপসা
মেয়েটার আবার কান্না পায়

আরো দুটো ছেলেমেয়ের বয়স বেড়ে যাবে
আরো দুটো দিনের অবসান
আমার ছেলেমানুষিটা আঁকড়ে ধরে রেখে
লিখব আমি ভালবাসার গান

ছেলেটার নেই বাড়ি ফেরার তাড়া
মেয়েটার নেই বাড়িতে টেলিফোন
দুজনেরই নেই নিয়ম ভাঙার বয়েস
তবু দুজনেরই আছে নিয়ম ভাঙার মন
ছেলেটার আছে বুক পকেটে চিঠি
প্রথম প্রেমের বানান ভুল
মেয়েটার আছে যত্ন করে রাখা
খাতার ভেতর চ্যাপ্টা গোলাপ ফুল

আরো দুটো ছেলেমেয়ের বয়স বেড়ে যাবে
আরো দুটো দিনের অবসান
আমার ছেলেমানুষিটা আঁকড়ে ধরে রেখে
লিখব আমি ভালবাসার গান

ছেলেটার নেই ভবিষ্যতের ভাবনা
মেয়েটারও নেই দাবি দাওয়া কোন
দাম্পত্যের শক্ত মানেটা
তারা দুজনেই জানেনা এখনো
শুধু একটি বারের জন্য একটু দেখা
ছুটি হয়ে গেলে দুজনের ইস্‌কুল
নেই যে তাদের আর কোন চাওয়া পাওয়া
শুধু খাতার ভিতর চ্যাপ্টা গোলাপ ফুল

আরো কত ছেলেমেয়ের বয়স বেড়ে যাবে
আরো কত দিনের অবসান
আমার ছেলেমানুষি মন আঁকড়ে ধরে রেখে
আরো একটা ভালবাসার গান

মন...

গানটি আমার বেশ ভাল লাগে। তাই আপনাদের জন্য এই পোস্টটি তৈরী করা... 
আরও ভাল হত যদি কর্ড যোগ করে দিতে পারতাম...





মন...
হাওয়ায় পেয়েছি তোর নাম
মন...
হাওয়ায় হারিয়ে ফেললাম(2)
হাওয়া দিলো শিশিরানিটা
হাওয়া দিলো ডানা
হাওয়া দিলো ছেঁড়া স্যান্ডল
ভুল ঠিকানা...(2)
মন রে.....
হলুদ আলোয় হাওয়ার আবীর মাখলাম
হে হে মন...
আলেয়া পরালো খালি হাত
মন..
জাগেনা জাগেনা সারা রাত.....(2)
জেগে থাকে ঘুম পাহাড়ের মন
কেমন আলো
দূরদেশে ফিকে হওয়া রাত
ডাক পাঠালো...(2)
মন রে..
ঘুমের গোপনে তোমাকে আবার ডাকলাম
হে হে
আদরের ডাক যদি মুছে
এই নাও কিছু ঘুম পাড়ানি গান আলগোছে
বোঝনা এটুকু শিলালিপি
মন রে..
ব্যাথার আদরে অবুঝ আঙ্গুল রাখলাম
হে হে
মন...
বুকের ভিতরে যে নরম
মন...
ছুঁয়ো না ছুঁয়ো না এরকম....(2)
ছুঁয়ে দিলে বুক কুরে কুরে খায়
সোনা পোকা
বেপাড়ায় কাঁদবেনা এমা ছি: ছি: বোকা
মন রে...
নাহয় পকেটে খুচরো পাথর রাখলাম

বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১১

ওরে দাঁড়াও কালা মোর


ওরে দাঁড়াও কালা মোর ঐ না রাজপথে রে
ওরে জনমের মত দেখিয়া নাও মোর প্রাণ কালা রে।।
আমার কালা বাড়ি আইসে
পিড়া দিলে কালা মাটিত্‌ বইসে রে, প্রাণ কালা রে
কালা, হাতে হাতে গুয়া দিলে না খায় রে।।
আমার কালা মানুষ ভালো
না বোঝে কালা সন্ধ্যা সকাল রে, মোর প্রাণ কালা রে
কালা না জানে যৈবনের পিরিতি রে।।
আমার কালার কটুর হিয়া
মন বান্ধ্যাছে কালা পাষাণ দিয়া রে, মোর প্রান কালা রে।।

ও আমার একলা যেতে ভয় করে


ও আমার একলা যেতে ভয় করে
চলো গুরু যাই দুজন পারে
ভবে যেতে গুরু আসতে গুরু
গুরু আমার যা করে।।
দেহ ছিল শ্মশান সমান
গুরু এসে মন্ত্র দিয়ে
করল ফুল বাগান
এখন সেই বাগানে ফুল ফুটেছে
অধরচাঁদ বিরাজ করে।।
পারের নাবিক আছে ছয়জনা
পারের কড়ি না থাকিলে
নৌকায় নেবে না
এখন ভবপারে যাই কি করে
তুমি নাও মোরে কৃপা করে।।
———–
শিল্পী: ভক্তিদাস বাউল

ও আমার একলা যেতে ভয় করে

ও আমার একলা যেতে ভয় করে চলো গুরু যাই দুজন পারে ভবে যেতে গুরু আসতে গুরু গুরু আমার যা করে।। দেহ ছিল শ্মশান সমান গুরু এসে মন্ত্র দিয়ে করল ফুল বাগান এখন সেই বাগানে ফুল ফুটেছে অধরচাঁদ বিরাজ করে।। পারের নাবিক আছে ছয়জনা পারের কড়ি না থাকিলে নৌকায় নেবে না এখন ভবপারে যাই কি করে তুমি নাও মোরে কৃপা করে।। ———– শিল্পী: ভক্তিদাস বাউল

পোনে ছটা বেজে গেল ছটা দশে গাড়ি

পোনে ছটা বেজে গেল ছটা দশে গাড়ি কৃষ্ণনগর যেতে হবে তোমার বাপের বাড়ি ও গিন্নী শোনো তুমি সাজগোজ করো তাড়াতাড়ি রিক্সালা বসে আছে করে মুখ ভারী দেরী হয়ে যাবে গিন্নী দেবাক ট্রেন ছাড়ি। নতুন জামাই আমি যাব শ্বশুরবাড়ি হাতে লোবো আমি মিষ্টি দইয়ের হাঁড়ি শাশুড়ি না শ্বশুরমশায় খুশি হবেন ভারী।। পাড়াপড়শীরা সব কাছে এসে বসবে আদরের শালীরা গায়ে গা ঘসবে পাশের বাড়ির বান্ধবীরা করছে কানাকানি।।

মন মতি কে গৌরাঙ্গে বিয়ে দেনা

মন মতি কে গৌরাঙ্গে বিয়ে দেনা পাড়ার লোকের মন ভালো না আমার মন মতি কে দেয় কুমন্ত্রনা তাইতে মতির মন ঘরে থাকে না মন মতির হল ভাবনা।। শুদ্ধ মতি যৌতুক দিয়ে মন মতি কন্যার দেও না বিয়ে আসবে সীতাপতি শ্রীবাস গদাধর লয়ে ভাবের গহনা।। গৌরের সঙ্গে কর সম্বন্ধ পাবি রে ভাই কি আনন্দ নিত্যানন্দ হবে কুটুম্ব নিরানন্দ রবে না।।

পরের জায়গা পরের জমি

পরের জায়গা পরের জমি
ঘর বানাইয়া আমি রই
আমি তো এই ঘরের মালিক নই।।

ওরে ঘরখানা যার জমিদারি
আমি পাইনা তাহার হুকুমদারী
আমি পাইনা জমিদারের দেখা
পরের দুঃখ কারে কই।।

জমিদারের ইচ্ছেমত আমায়
দেয় গো জমি চাষ
তিতো তাতে ফলে না ফসল
দুঃখ বারো মাস।।

আমি খাজনাপাতি সবই দিলাম
তবু জমি আমার হয় যে নীলাম
আমি চলি না তার মন জোগায়ে
দাখিলে মেলে না সই।।

———–
শিল্পী: আব্দুল আলিম

মেনকা মাথায় দিল ঘোমটা

মেনকা মাথায় দিল ঘোমটা। বেছে বেছে করলি করলি জামাই চিরকালের নেংটা লো নেংটা।। তৈরী এ সোনার পুতুলী বুড়ো বরে বিয়া দিলি রাস্তায় যেতে ঢলে পড়ে বাতাসে দন্ত নড়ে মেনকা সে যে ভালো হাতীর গলায় ঘন্টা লো ঘন্টা।। সততরি কাছে বাঘাম্বরা নির্দ্ম বেটা গাঁজায় দেয় দম আবার হাতে ত্রিশুল মাথায় জটা ঠিক ভিখারির ঢংটা লো ঢংটা।। শ্মশানে মশানে থাকে ওই তো ভুতের রাজা ভবপিতা ভেবে বলে মেনকা গেলি ভুলে দেখে সাদা রংটা লো রংটা।।

মনবাড়ি


আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, একুশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি।।
ছেলে হারা শত মায়ের অশ্রু
গড়ায়ে ফেব্রুয়ারী।।
আমার সোনার দেশের
রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী।।
জাগো নাগিনীরা জাগো জাগো
জাগো কাল বোশেখীরা
শিশু হত্যার বিক্ষোভে আজ
কাপুক বসুন্ধরা।।

আমার প্রতিবাদের ভাষা


আমার প্রতিবাদের ভাষা
আমার প্রতিরোধের আগুন
দ্বিগুণ জ্বলে যেন
দ্বিগুন দারুণ প্রতিশোধে
করে চূর্ণ ছিন্ন -ভিন্ন
শত ষড়যন্ত্রের জাল যেন
আনে মুক্তি আলো আনে
আনে লক্ষ শত প্রাণে।
আমার প্রতি নিঃশ্বাসের বিষে
বিশ্বের বঞ্চনার ভাষা
দারুণ বিস্ফোরণ যেন
ধ্বংসের গর্জনে আসে
যত বিপ্লব বিদ্রোহের আমি সাথী
আমি মাতি যুদ্ধেও হেথায় সেথায়
মানুষের মুক্তির বিপন্নতায়
আমারই রক্ত ঝরে
দেশে দেশে বন্দরে
শত মরু কন্দরে
গৌরী শিখায়
মিলনের তীর্থের সন্ধানে।
সুর: সলিল চৌধুরী

আমাদের নানা মত নানা দল


আমাদের নানা মত নানা দল
আমাদের নানা পথ নানা ছল
মহাপাপ অন্যায় স্বার্থের বন্যায়
আমাদের দেশ গেল রসাতল।।
আমাদের এ দেশের ইতিহাস
নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস
জান- মান দি’ কবুল
তবু শুধু দিক ভুল
অমৃতের পেয়ালায় হলাহল।।
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম
শহীদের মৃত্যু সে উদ্দাম
বিক্ষত জীবনের বিস্ময়
আজ বুঝি তার কোন নাই দাম।
সত্যের নাই কোন অধিকার
অবিচারে নাই কোন প্রতিকার
এ কি ঘোর অভিশাপ
নাই কোন পরিতাপ
মুক্তির এই নাকি ফলাফল।।
কথা: নাজিম মাহমুদ
সুর: সাধন সরকার

আমাদের চেতনার সৈকতে


আমাদের চেতনার সৈকতে
একুশের ঢেউ মাথা কুটল
শহীদের রক্তের বিনিময়ে
চোখে জল কয় ফোঁটা জুটল।।
বছরের একদিন পুণ্য
সঞ্চয়ে হয় ঋণ পরিশোধ
হৃদয়ের পাত্রটি শুন্য
অন্যের পায়ে পায়ে লুটল।।
কতকাল আর এই প্রহসন
মুখে মুখে শুধু বাঙালীত্ব
কতকাল আর মোহবন্ধন
জীবনের পদে পদে নিত্য।
একুশের ঢেউ তবু লাগবেই
উর্বর বাংলার প্রান্তর
ফসলের মরশুম জাগবে
রক্ত গোলাপ যদি ফুটল।।
কথা: নাজিম মাহ্‌মুদ
সুর: সাধন সরকার

আমরা সবাই বাঙালী


বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ,
বাংলার খ্রীষ্টান, বাংলার মুসলমান,
আমরা সবাই বাঙালী ।।
তিতুমীর, ঈসা খাঁ, সিরাজ
সন্তান এই বাংলাদেশের
ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, নেতাজী
সন্তান এই বাংলাদেশের
এই বাংলার কথা বলতে গিয়ে
বিশ্বটাকে কাঁপিয়ে দিল কার সে কন্ঠস্বর,
মুজিবর, সে যে মুজিবর,
‘জয় বাংলা’ বলে রে ভাই।।
ছয়টি ছেলে বাংলাভাষার চরণে দিল প্রাণ,
তাঁরা বলে গেল ভাষাই ধর্ম,
ভাষাই মোদের মান।
মাইকেল, বিশ্বকবি, নজরুল
সন্তান এই বাংলাদেশের
কায়কোবাদ, বিবেকানন্দ, অরবিন্দ
সন্তান এই বাংলাদেশের
এই বাংলার কথা বলতে গিয়ে
বিশ্বটাকে কাঁপিয়ে দিল কা সে কন্ঠস্বর,
মুজিবর, সে যে মুজিবর,
‘জয় বাংলা’ বলে রে ভাই।
কথা: গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
সুর: শ্যামল গুপ্ত

এ ভবসাগররে কেমনে দিমু পাড়ি রে


এ ভবসাগররে কেমনে দিমু পাড়ি রে
দিবা নিশি কান্দিরে নদীর কুলে বইয়া।
মন রে জঞ্জালে পড়িলাম ভাইরে ভাঙা তরী লইয়া
আমার এই ভবে দরদী নাইরে দেখিলাম ভাবিয়া।
মন রে দিবা নিশি কান্দিরে নদীর কুলে বইয়া।
পাছের নৌকার মাঝিরা ভালো
তারা বাইয়া আগে গেল
বালুর চরে ঠেকলাম ভাইরে ভাঙা তরী লইয়া।
মন রে এই ভবে আসিলাম ভাইরে ষোলো আনা লইয়া
আমার সর্বস্ব ধন নিল ভাইরে ডাকাইতে লাগে পাইয়া।।

বন্ধু কই রইলি রে


বন্ধু কই রইলি রে
অকুলে ভাসাইয়া বন্ধু কই রইলি রে।
লহর দরিয়ার বুকে মইলাম সাঁতারিয়া
কি দুঃখ বুঝিবে বন্ধু কিনারায় দাঁড়াইয়া
বন্ধু কই রইলি রে।।
কুল নাই কিনার নাই
উঠছে কত ঢেউ
এমন নিদন কালে
সঙ্গী নাই মোর কেঊ
বন্ধু কই রইলি রে।।
বন্ধু তোমার আসায় বইসাছি
সকল হারাইয়া
কোন পরানে এখন তুমি
রইলে পাসুরিয়া
বন্ধু কই রইলি রে।।

ভুল করে ভালবেসে যাই শুধু জ্বলে


ভুল করে ভালবেসে যাই শুধু জ্বলে
এ জ্বালায় বুঝেছি যে প‌্রেম কারে বলে
হায় প্রেম! হো ভাঙচুর প্রেম।।
এই মন আমার ছিলো বাঁধা তাই
শুধুই ছুটে যেতো তোমর আশায়
ভালবাসা কি বুঝেছি আমি
তোমাকে দিয়ে হৃদয়।।
হায় প্রেম! হো ভাঙচুর প্রেম।।
সানাইয়ের সুরে সুরে পালকী যায় চলে
রাঙাতে যাও তুম অন্য হৃদয়
কিসের কারণে এমন হয়
শুধু বলোনা যাবার সময়।।
হায় প্রেম! হো ভাঙচুর প্রেম।।

পথের শিল্পী (কারও কারও দুপুরগুলো ঘুনেধরা ইচ্ছেমত)


কারও কারও দুপুরগুলো ঘুনেধরা ইচ্ছেমত
কারও কারও স্বপ্নটুকুও অস্পৃশ্য এক বোধের মত
ওদের কথা বলা থাকে পথের সব ধুলোর শিল্পে
স্বপ্ন কখনো সত্যি হয়ে আসে না তো ওদের গল্পে।
কারও কারও হাতের রেখা ফাঁকি দিয়ে যায় শুধু
নিজের জন্য কখনো সুখের পাইনা ধরা ওদের মুঠো
তুমি যখন অলস বসে কুড়িয়ে চলো ইচ্ছে গুলো
ওরা তখন পথে কুড়োয় স্বপ্ন ছাড়া কাগজ টুকরো।।
————–
অ্যালবামঃ শত আশা
কথাঃ বৃষ্টি দেছা

আরেকবার একটু যদি অচেনা পথে


আরেকবার একটু যদি অচেনা পথে
আমায় ছুঁয়ে যাওয়া জোছনা হতে
আরেকবার দিনের শেষে সূর্য স্নানে এসে
আমার অনুভব স্বপ্ন হয়ে যেত।
তবে বলতাম আমি এসো আজ উড়ায় হৃদয়ঘুড়ি
আকাশে তুমি এসে রোদের ঝাঁপি খুলে মেঘের ভাঁজে
নীলের নীলে ভাসে স্বপ্নে তুমি আঁকে আনমনে।
আবার যদি হয় পাওয়া হারাবার সিঁড়ি
তোমায় নিয়ে হবো আজও আলোর স্বপ্নচারী।
সেই তুমি একটু যদি দিতে পথপাড়ি
আঁধার রাত হয়ে যেত জোনাকির বাড়ি।।
————-
অ্যালবামঃ শত আশা
কথাঃ বৃষ্টি দেছা, হাসিব ফিরোজ

বেদনা (তুমি আমার নও তো সুখ)


তুমি আমার নও তো সুখ
তুমি সুখের বেদনা
সব স্বপ্নের রঙ হয় না তো
বেদনার মত নয় রঙা
জীবনের সব কথা নয়
আমি জীবনটাকে বলতে চাই
হয়তো দুর্ভাগ্য নয়
সে তো ভালবাসার কাব্য কয়
আমি কবি নই
তবু কাব্যের ভাষায় বলব আজ
তোমার হাসির শ্রাবণ ঢলে
স্বপ্ন নিয়ে ভাসতে চায়
তুমি বললে আজ দুজনে
নীল রঙা বৃষ্টিতে ভিজবো
রোদেলা দুপুরে একসাথে
নতুন সুরে গান গাইবো
শেষ বিকেলের ছায়ায় নীল
আকাশের বুকে আমি
লাল রঙা স্বপ্ন আঁকবো
তুমি বললে আজ দুজনে
সাত রঙা প্রজাপতি ধরবো
নোনা বালি চড়েতে এক সাথে
আকাশের সমুদ্র স্নান দেখবো
গোধূলির আলো আঁধারিতে
ঘূর্ণির সাথে দুজনা
নীলের বুকে আজ হারাবো
—————–
অ্যালবামঃ নতুন স্রোত

পথের শিল্পী (কারও কারও দুপুরগুলো ঘুণেধরা ইচ্ছেমত)


কারও কারও দুপুরগুলো ঘুণেধরা ইচ্ছেমত
কারও কারও স্বপ্নটুকুও অস্পৃশ্য এক বোধের মত
ওদের কথা বলা থাকে পথের সব ধূলোর শিল্পে
স্বপ্ন কখনও সত্যি হয়ে আসেনা তো ওদের গল্প ।
কারও কারও হাতের রেখা ফাঁকি দিয়ে যায় শুধু
নিজের জন্য কখনো সুখের পায়না ধরা ওদের মুঠো
তুমি যখন অলস বসে কুরিয়ে চলো ইচ্ছে গুলো
ওরা তখন পথে কুড়োয় স্বপ্ন ছাড়া কাগজ টুকরো ।।
——————
অ্যালবামঃ শত আশা,
কথাঃ বৃষ্টি দেছা

স্মৃতির ছেঁড়াপাতা (আমি নিতে দেবনা সময়)


আমি নিতে দেবনা সময়কে এক মুঠোভরা জোছনা
চাঁদটা যতই দূরের হোক ছুঁতে আমি চাই না
পৃথিবীর অপার বিস্ময় থাক আমার অদেখা
শুন্য খাতার প্রতিটি পাতায় সময় কাব্য অলেখা ।
আমি মেলবো না আর স্বপ্নডানা ওই নীল মেঘেদের ছোঁয়ায়
আমি লিখবোনা আর কাব্য কোন স্মৃতির ছেঁড়াপাতায় ।
আমি দেবনা পাড়ি তোমায় নিয়ে নিষ্প্রাণ নদীতে
যে পথ ভুলে পোঁছে গেছে শুন্য মরুর বুকে
শেষ বিকেলে হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি হাতড়ে বেড়ায়
নিঝুমরাতে অন্ধকারে স্বপ্ন ধরার খেলায় ।।
————-
অ্যালবামঃ শত আশা
কথাঃ বৃষ্টি দেছা

শত আশা (কিছু পাবার আশায়)

কিছু পাবার আশায় স্বপ্নগুলো আজ সত্যির পথে
কিছু দেখাবো বলে স্বপ্নগুলো আজ মুক্তির পথে
আজ সব পথ পেরিয়ে শত বাধা এড়িয়ে
লক্ষ্য খুঁজতে চাই…
শত আশা…
আজ হাতে রেখে হাত স্বপ্নগুলো আজ একসাথে
ভুলে যাব না বলে স্বপ্নগুলো আজ সৃষ্টির পথে
আশাগুলো আজ আলো হয়ে জ্বলে উঠে
এতে নেই কোন পিছুটান নেই কোন বাধা।
শত আশা।।
—————
অ্যালবামঃ শত আশা
কথাঃ মনছুরুল আলম জামি

ছায়ামেঘ


কন্ঠ : বাপ্পা/কনা
কথা, সুর ও সংগীত : প্রিন্স মাহমুদ
 অ্যালবাম : নির্বাচিতা



তোমায় ভালোবাসি
তাই ছায়ামেঘ আমি হবো
যখন রোদ্দুরে তুমি হাঁটো।
থাক চোখভাঙ্গা হাসি
তাই নুনে ভরা ব্যথা জলটুকু তুমি
আমার দু’চোখে বাটো।

সারা দিনমান যেখানেই তুমি
ঠিক সেখানেই থাকবো
যতটুকু ভালবাসা সম্ভব
ততটুকু ভালবাসবো
স্বপ্নেও ওম ওম হবো
হবো তোমার রেশমী চাদর
যখন ঘুমের রাজ্যে হাঁটো।

খোলা হাওয়া হয়ে যাবো বয়ে বয়ে
তোমার পাশে ভাসবো
বুক ভরে তুমি নিঃশ্বাস নিও
তোমর ভেতরে হাসবো
স্বাপ্নিক পৃথিবী থেকে
এনে দেবো রঙ সুতো
তুমি স্বপ্ন চরকা কাটো।

কোথায় যাবি [Kothay Jabi]


বল তুই আমায় ছেড়ে কোথায় যাবি,
বল তুই আমায় ছাড়া কেমনে রবি ।।
তোর পরানে আমার এ মন
বান্ধিয়াছি সারা জীবন,
তোরে ছাড়া বাচিনা ।।
বল তুই আমায় ছেড়ে কোথায় যাবি,
বল তুই আমায় ছাড়া কেমনে রবি
এক জীবনে একটু ভুল হতেই পারে,
তাই বলে কি আপন মানুষ রাখবি দূরে ।।
যাস নারে এভাবে চলে,
আমি যাচ্ছি এ পথ ভুলে,
বহু দূরে কেউ তো জানবে না ।।



শিরোনাম : কোথায় যাবি [Kothay Jabi]
শিল্পী : জুয়েল, কনা [ZooEL ft Kona]
Unreleased Track

ফেলে আসা স্মৃতি আমার


ফেলে আসা স্মৃতি আমার বেদনা জাগায়
মন কেন খুঁজে ফিরে শুধু যে গো তোমায়…
ফেলে আসা স্মৃতি আমার…
তুমি তো জানোনা, আমিও চিনিনা…
তবু কেন মন যে হায় তোমাকে চিনতে চায়
মন কেন খুঁজে ফিরে শুধু যে গো তোমায়…
ফেলে আসা স্মৃতি আমার…
জীবনের সেই গান, আর তার প্রতিদান
এখন তো জানিনা তার সীমা যে কোথায়
মন কেন খুঁজে ফিরে শুধু যে গো তোমায়…
ফেলে আসা স্মৃতি আমার…
মায়া-ভালবাসা, কেন এত জ্বালায়
ভুলিতে চায় সহজে গো ভোলা নাহি যায়
মন কেন খুঁজে ফিরে শুধু যে গো তোমায়…
ফেলে আসা স্মৃতি আমার…

গড়বো বাংলাদেশ [Gorbo Bangladesh - Shunno]


শিরোনাম : গড়বো বাংলাদেশ
কন্ঠ : এমিল
কথা : কান্তি অনন্ত নুজহাত
ব্যান্ড : শূন্য
অ্যালবাম : গড়বো বাংলাদেশ
আরো সাহস করে মাঠে নামো আজ
সবাই একি সাথে জেগে ওঠো আবার।
চিৎকার করে ডাক দিয়ে যাও
সাড়া দেবে সবাই।
গড়বো বাংলাদেশ
সোনার বাংলাদেশ
বুকে আশা মনে ভালবাসা।
এবার আরো কিছু নিয়ম ভেঙ্গে দাও
এগিয়ে যাবার শপথ তুমি নাও
সময় হয়ে এসেছে আবার
নিজ থেকে কিছু করার।
আমার সোনার বাংলাদেশ আমি তোমায় ভালবাসি।

জোছনার পরে [Josnar Pare - Shunno]


শিরোনামঃ জোছনার পরে [Josnar Pare]
কন্ঠঃ এমিল
কথাঃ বৃষ্টি দেছা
অ্যালবামঃ গড়বো বাংলাদেশ
আজ তুমি শব্দ দিয়ে আঁধার রাতে
আমার নিরবতার ঘুম ভাঙ্গালে
আজ তোমায় নিয়ে যাব মেঘের ই আড়ালে
মেঘদের ছুতে পার হাত বাড়ালে।
আমার থেমে থাকা সব আঁধার চিরে
আমার ভেতরে আজো বৃষ্টি ঝরে।
আজ বহুদূরে হেঁটে যাব বলে
নিয়ন আলো হাতে আমি দাড়িয়ে
আজ তুমি রোদে ভেজা ভোরের শিশিরে
আমার না ঘুমের স্বপন হয়ে।
তোমার আঁকা জোছনায় কিছু স্বপ্ন আছে বাকি
জোছনারই গল্প শেষে পাশে রব আমি।

হাত বাড়াও [Black - Haat Barao]


শিরোনাম : হাত বাড়াও [Black - Haat Barao]
Album : Black [Eid Album 2011]
Artist: Black
Banner: G-Series
Download link : Black – Haat Barao  by  doridro.com

ঘুম থেকে আজ উঠব না
ঘরের বাইরে যাব না
সূর্যকে আজ দেখব না আমি
যদি তুমি না হাসো
আদর করে না ডাকো
আমি কোথাও যাচ্ছি না
হাত বাড়াও, টেনে নাও
আমাকে এখনই
দেখ বাইরে অন্ধকার
নেই কোনও শব্দ
এসবের কারণ তুমি
তোমার কাছে আমি
বিবর্ণ ছবির মতো এখনও আছি ।

জীবনের বাঁ-পাশে [Black - Jiboner Ba Pashe]


শিরোনাম : জীবনের বাঁ-পাশে [Black - Jiboner Ba Pashe]
Album : Black [Eid Album 2011]
Artist: Black
Banner: G-Series
Download link : Black – Jiboner Ba Pashe  by  doridro.com

জানি না
এভাবে কে বসে থাকে ?
জীবনের বাঁ-পাশে হাঁটে।
হাঁটে আর দেখে
বায়বীয় এক সুখ
ভীষণ (গোপন) অসুখ।
এই তো সব
আর কিছু যে নেই
কেবলই শূণ্যতার ছাই
ভাসে নিরন্তর
ভাসে কেবলই বাঁ-পাশে

মূমুর্ষু রূপকথা [Black - Mumursho Rupkotha]


শিরোনাম : মূমুর্ষু রূপকথা [Black - Mumursho Rupkotha]
Album : Black [Eid Album 2011]
Artist: Black
Banner: G-Series
Download link : Black – Mumursho Rupkotha  by  doridro.com

আজ এই দিনে
কত না-বলা কথা
তুমি শুনবে কি ?
নাকি এড়িয়ে যাবে এ কথা ?
হয়তো-বা এই জীবন
রক্তের রঙে আঁকা
এই বিরুদ্ধ সময়ের
রুদ্ধ মহাকালের
বিপর্যস্ত ইঙ্গিতের এ কথা।
তুমি শুনবে কি ?
নাকি এড়িয়ে যাবে
এই বিরুদ্ধ সময়ের
এ কথা ?

লাল নীল গল্প [Shironamhin - Lal Neel Golpo]


শিরোনাম : লাল নীল গল্প [Shironamhin - Lal Neel Golpo]
কথা: জিয়া
সুর: জিয়া
অ্যালবাম : জাহাজী
Download link : Shironamhin – Lal Neel Golpo

এখনই সময়
পাড়ি দিতে দিগন্ত
কত দূর যেতে হবে?
সীমানা অজানা
অচেনা পথে
কত দূর যেতে হবে?
যেতে পার তোমরাও
যেতে পার বহুদূর
জেনে যাও নিশ্চিত পরাজয়
বহুদূর সীমানায় লাল নীল গল্পে
নাগরিক সংকট ছাড়বে না তোমায়।
লাল নীল গল্পে তোমাদের দেখা যায়
তোমাদের পরাজয় আমাদের গল্প হয়ে যায়।
গল্পে তোমারাও যেতে পার সীমানায়
সীমানার সংঘাত ছাড়বে না, ছাড়বে না তোমায়।
লাল নীল লাল গল্পে
ছন্দে গল্পে যাবে যদি অজানায়
যেতে পার তুমি, সংগী রাজপথ
যাবে যদি সীমানায়
বন্ধু তুমি জান যেতে হবে কত দূর
কত দূর বহুদূর
যেতে হবে কতদূর?
যেতে পার তোমরাও
যেতে পার বহুদূর
জেনে যাও নিশ্চিত পরাজয়
বহুদূর সীমানায় লাল নীল গল্পে
নাগরিক সংকট ছাড়বে না তোমায়।
লাল নীল গল্পে তোমাদের দেখা যায়
তোমাদের পরাজয় আমাদের গল্প হয়ে যায়।
গল্পে তোমারাও যেতে পার সীমানায়
সীমানার সংঘাত ছাড়বে না ছাড়বে না তোমায়।

নিশ্চুপ আধার [Shironamhin - Nishchup Adhar]


উড়তে কি পারো বন্ধু আমার?
ধরতে কি পারো তুমি মেঘের জল?
গাইতে কি পারো তুমি আমার গান?
শুনতে কি পারো তুমি আমার কান্না?
দেখতে কি পারো নিঃস্ব প্রাতে
নিঃসঙ্গ মোর একলা চলা ।
ভাসতে কি পারো তুমি আমার সুরে
বুঝতে কি পারো তুমি আমার কথায়?
মিথ্যার বেসাতিতে তোমার জগৎ ।
র্স্পশ করো তুমি আমার কষ্ট
মেঘদল হতে আনো সূর্য সকাল
গেয়ে ওঠো মোর সাথে আমার গান ।
আমি তাকিয়ে রই, নীল আদিগন্ত
মানুষ ভরা খোলা প্রান্তরে,
আর চেয়ে দেখি, তোর খোলা চুলে
ভেসে যায় আমারি স্বপ্নগুলো ।
নিশ্চুপ আধারে ।
তুই উড়িয়ে যা তোর ফানুস, যত ইচ্ছে সাজা মেঘমালা
তুই চেয়ে দেখ কত মানুষ, পথে নেমে ভুলে যা কষ্ট
তুই উড়িয়ে যা তোর ফানুস, তুই বেঁচে থাক নিয়ে আশা
তুই দেখ তোরি মত মানুষ, তুই গেয়ে যা তারই ভাষায়
আমি তাকিয়ে রই খোলা প্রান্তরে, তুই যা, যা ভুলে যা সবই ।
উড়তে কি পারো বন্ধু আমার?
ধরতে কি পারো তুমি মেঘের জল?
গাইতে কি পারো তুমি আমার গান?
ভাসতে কি পারো তুমি নীল জোছনায়?
শুনতে কি পারো মোর প্রিয়ার ঠোটে?
অচেনা আলোর এক মুক্ত বয়ান ।
ভাঙ্গতে কি পারো তুমি দেবতার ঘুম?
দেখতে কি পারো তুমি আমার চোখে?
অক্ষম চিৎকারে বাঁচার নেশা
অগ্নিকন্ঠ হোক তোমার শব্দ
অতল নরকে সাজো তোমার বাসর
গেয়ে ওঠো মোর সাথে আমার গান ।




শিরোনাম : নিশ্চুপ আধার [Shironamhin - Nishchup Adhar]
কথা: ফারহান, জিয়া
সুর: তুষার, জিয়া
অ্যালবাম : জাহাজী

ঘুম [Shironamhin - Ghum]


কথা ছিলো সূর্যের মৃত্যুকালে ছিনাবি তাহার আত্মা ।
কথা ছিলো নীল মেঘ হতে নিয়ে আসবি যন্ত্রনা ।
কথা ছিলো পাপ হতে ধুয়ে ফেলবি তোর শঙ্খ শরীর ।
কথা ছিলো সাঁঝকালে ভালবাসবি মোর নীরজাকে ।
শুয়ে শুয়ে হাত পাতি আধার মাঝে
যদি ঝরে পড়ে তোর অশ্রু ।
কান পাতি শব্দহীন অলিক চরাচর
যদি ভেসে আসে তোর আহবান ।
ঘুম ভেঙ্গে জেগে দেখি দাসত্বের সহস্র বছর
ঘুম ভেঙ্গে জেগে দেখি মৃত্যু শিয়রে শুনছে প্রহর
কথা ছিলো মোর অপরাধের তরীতে ভাসাবি তোর সস্ত্বা ।
কথা ছিলো অর্থহীন চুম্বণ পাবে নতুন সময় ।
কথা ছিলো পঙ্কিল সাগর হতে নিয়ে আসবি আমায় ।
কথা ছিলো আজন্ম অমাবস্যার মৃত্যু এখনি ।
শুনে দেখি কান দিয়ে শুধু শূন্যতা
ছুঁয়ে দেখি চোখ দিয়ে, প্রিয়া অন্যথা
র্নিবান যন্ত্রনায় লাশকাটা ঘরে
ঘুমোও আমার মানুষ ।




শিরোনাম : ঘুম [Shironamhin - Ghum]
কথা: ফারহান
সুর: তুষার, ফারহান
অ্যালবাম : জাহাজী
Download link : Shironamhin – Ghum

শূণ্য [Shironamhin - Shunno]


আমার ঘরে জন্ম হলো
আমার ঘরেই বসবাস
ঘরের আলোয় আমার সর্বনাশ ।
ছিলো ঘরে তেলের প্রদীপ, টিমটিমে তার আলো
ভরসা ছাড়াই জীবন সুধা,
আমার ঘরের আধার কোণে
লুকিয়ে থাকাই ভালো ।
আধার আমার তেল ফুরালে, সন্ধ্যে নিয়ে আসে
বারো মাসে সতেরো জীবন, বছর ঘুরে থামলো যখন
আমায় ভালবাসে…..আমায় ভালবাসে
সিড়ি ভেঙ্গে এ ওর বোঝা, করলো হাতবদল
আমার বোঝা কে যে নিলো, কোন সে চেনা মুখ
জীবন ভরে বোঝার পাহাড়,
জীবন ভরে বো ঝা র পাহাড়
জীবন ভরে বোঝার পাহাড়, বারো মাসে সোনার হরিণ
পেলাম না যে সুখ ।
ঘরের আলোয় আমার সর্বনাশ ।
আমার ঘরে দশটি সিড়ি, নয়টি তারই ভাঙ্গা
সিড়ি গেলো আকাশ পানে, আমি যখন অতল জলে
খুঁজছি শুকনো ডাঙ্গা ।
বদলে বোঝা সেই….
চেনা ঘরে ঢুকে দেখি,
পায়ের নিচে মাটি নেই,
মাটি নেই ।




শিরোনাম : শূণ্য [Shironamhin - Shunno]
কথা: জিয়া
সুর: জিয়া
অ্যালবাম : জাহাজী
Download link : Shironamhin – Shunno

জাহাজী [Shironamhin - Jahaji]


শিরোনাম : জাহাজী [Shironamhin - Jahaji]
কথা: জিয়া
সুর: জিয়া
অ্যালবাম : জাহাজী
Download link : Shironamhin – Jahaji

চেনা শহর, চেনা রাস্তা, পরিচিত ঢাকা
ভেসে যাচ্ছি চোখে আলো জ্বেলে, জাহাজীর মত একা
ঝরে চুন-সুড়কি, শরীরের দেয়াল
তবু সিড়ি ভেঙ্গে ভেঙ্গে, অনেক উঠেও থেমে,
শেষ ছাদটায় দেখি নীল,
এরই মাঝে নক্সা , সাদা আলোর সাদা শঙ্কচিল ।
জাহাজীর কাছে ভীষণ সত্য সেই,
পথটাই যাওয়া, এর আর কোন ফিরে আসা নেই ।
পথের ধারে দাড়িয়ে আছে, শুকনো দালান
দোকানের নাম, তারপর, আমাদের ভুবনে স্বাগতম ।
ঝরে বৃষ্টি কারো ভুবনে, তবু নিয়ন সাইনে স্বাগতম ।
আ মা দে র , তারপর ; ভু ব নে ,
তারপর ; স্বা গ ত ম ।
বুঝতে কিছু সময় লাগে সেই,
স্বাগতমটাই ইচ্ছে, সস্তায় কারা বিক্রি করে দিচ্ছে ।
আমার শৈশবের মত দামী, আমার কান্না জড়ানো গান,
মাথা উচু সেইন্ট গ্রেগরী আমার, সময়ের টানে ম্লান ।
আমার পরিচিত লাস্ট বাস, আমার ভাঙ্গাচোরা নিঃশ্বাস,
ব্রাদার চার্লসের চুইংগাম, আমার রক্ত আমার ঘাম,
আমার লাস্ট বাসে বাড়ি ফেরা, মাথা তুলবার তাড়া,
আমার জাহাজের পাটাতন, ছেড়া নোঙর, ছেড়া মন,
ছেড়া নোঙর…
জাহাজীর আর বোঝার বাকী নেই
পথটাই যাওয়া , এর আর কোন ফিরে আসা নেই ।

শিরোনাম : বরষা [Shironamhin - Borsha]


বরষা মানেনা
ঝরছে জলধারা,জানিনা, জানিনা-কাটবে কি ঘনঘটা।
অনুনয় মানেনা
অবারিত মনকথা,জানিনা, জানিনা-থামবে কি ঘনঘটা।
নির্ঝর গগনে, অপলক চেয়ে রই
বিস্মৃত কবিতা, আনকা পবনে-
মেঘলা কবেকার স্মৃতিময় বাতায়ন
বলে যায় “তোমায় অনব ভালবাসি”।দিপীকা সায়রে
অনিমেষ চেয়ে রই
মিথিলা বরষা, অলোক দহনে-
মেঘলা কবেকার স্মৃতিময় বাতায়ন
বলে যায় “তোমায় অনব ভালবাসি”।
বরষা মানেনা
ঝরছে জলধারা…


শিরোনাম : বরষা [Shironamhin - Borsha]
কথা: ফারহানতুহীন
সুর: তুষার
অ্যালবাম : ইচ্ছে ঘুড়ি
Download link : Shironamhin – Borsha

শিরোনাম : পাখি [Shironamhin - Pakhi]


একা পাখি বসে আছে শহুরে দেয়ালে
শীষ দিয়ে গান গায় ধূসর খেয়ালে
তার ফেলে যাওয়া আনমনা শীষ, এই শহরের সব রাস্তায়
ধোঁয়াটে বাতাসে, নালিশ রেখে যায়।।
আমি দেখিনি, আমি শুনিনি, আমি বলিনি অনেক কিছু
জানিনি, আমি বুঝিনি, তবু ছুটেছি তোমার পিছু
পাখি আনমনা বসে দেয়ালে, পাখি নির্বাক চোখ রাস্তায়,
ধোঁয়াটে শহরের উষ্ণতা বাড়েনা,
তার আনমনা চোখ, অবুঝ চোখ মনের দরজায়, আঙুল রাখেনা।
কিছু সুর তুমি এনে দাও পাখি নাগরিক কোলাহলে
তুমি গান গাও, তুমি শীষ দাও এই শহুরে দেয়ালে
তুমি ভুলে যাও এই শহরের যত ব্যস্ত জনকথা
আমি এসেছি তোমার কাছে এনে দাও স্বাধীনতা।
দেখিনি, আমি শুনিনি, আমি বলিনি অনেক কিছু
জানিনি, আমি বুঝিনি, তবু ছুটেছি তোমার পিছু
আমি দেখিনি, আমি শুনিনি, আমি বলিনি অনেক কিছু
আমি জানিনি, আমি বুঝিনি, তবু ছুটেছি.. তোমার পিছু।


কথা: জিয়া
সুর: জিয়া
অ্যালবাম : ইচ্ছে ঘুড়ি

তুই যত ফুল দিস না কেনে


তুই যত ফুল দিস না কেনে
বকুল যদি না দিস এনে
আমি তোর কোনো কথা শুনবো না
আমার কন্ঠে চাই কুণ্ড মালা
কানে চম্পা ফুলের দোলা
কালা খোঁপায় বকুল মালা ছাড়া
আমি নিবো না
ডাগর চোখে আঁকবো আমি
(…..?) কাজল
কোমরেতে বাঁধব বিছা
পায়ে রূপার মল
মিথ্যা বলে করলে পিরিত
তোকে ভালোবাসবো না
আমি পরবো হাতে কাঁচের চুড়ি
করবো তোমার মন চুরি
ঝমঝমাঝম নাচবো ভালোবাসবো
রাঙা পায়ে পড়বিরে তুই
মনটি তবু দিবো না
—————–
অসম্পূর্ণ
—————–
চলচ্চিত্র: ওগো বঁধূ সুন্দরী

তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম(প্রেম)


তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম
নিবিড় নিভৃত পূর্ণিমানিশীথিনী-সম ।।
মম জীবন যৌবন মম অখিল ভুবন
তুমি ভরিবে গৌরবে নিশীথিনী-সম ।।
জাগিবে একাকী তব করুণ আঁখি,
তব অঞ্চলছায়া মোরে রহিবে ঢাকি ।
মম দু:খবেদন মম সফল স্বপন
তুমি ভরিবে সৌরভে নিশীথিনী-সম ।।

বৃষ্টি নেমেছে রিমঝিমরিম সুরের লহরী

বৃষ্টি নেমেছে রিমঝিমরিম সুরের লহরী
নিঝুম রাতে
বৃষ্টি নেমেছে কত স্মৃতি বুকে নিয়ে
উদাস করেছে এই রাত
বৃষ্টি নেমেছে মনে পড়ে যায় আমার গাঁ
বৃষ্টি নেমেছে ঐ মাটির ভালোবাসায়
বার বার শুধু ডাকে
ফিরে আয় আয় আয়
স্মৃতির দুয়ার খুলে আমি
পায়ে চলেছি মেঠো পথে
কাশবন আর ঐ নদীর বাঁকে
আমি সুর করি
ঐ মাছরাঙা পাখির রঙে
আমি গান ধরি
ঐ শিস দেয়া পাখির ডাকে
স্মৃতির দুয়ার খুলে আমি
শুয়ে আছি কোন বটতলে
নিঝুম আকাশে তারার হাসি
আমি সুর করি
ঐ নিঝুম রাতের কোলে
আমি গান ধরি
ঐ জেগে থাকা তারার ভাষায়
—————-
ওয়ারফেইজ

নিকষ কালো এই আঁধারে

অন্ধকার ঘরে, কাগজের টুকরো ছিঁড়ে
কেটে যায় আমার সময়
তুমি গেছো চলে
যাওনি বিস্মৃতির অতলে
যেমন শুকনো ফুল বইয়ের মাঝে রয়ে যায়
রেখেছিলাম তোমায় আমার হৃদয় গভীরে
তবু চলে গেলে এই সাজানো বাগান ছেড়ে
আমি রয়েছি তোমার অপেক্ষায়…
নিকষ কালো এই আঁধারে
স্মৃতিরা সব খেলা করে
রয় শুধু নির্জনতা
নির্জনতায় আমি একা
একবার শুধু চোখ মেলো
দেখো আজ পথে জ্বালি আলো
তুমি আবার আসবে ফিরে
বিশ্বাসটুকু দু’হাতে আঁকড়ে ধরে।
কিছু পুরোনো গান
কিছু পুরোনো ছবির অ্যালবাম
এসবই আমার সাথী হয়ে রয়
কাকডাকা ভোরে
যখন সূর্য ঢুকে ঘরে
কালো পর্দায় বাধা পেয়ে সরে যায়
আমার এ জগত বড় আগলে রাখে আমায়
তবু মাঝে মাঝে মনে হয়
মৃত্যুই কি শ্রেয় নয়
আমি রয়েছি তোমার অপেক্ষায়
নিকষ কালো এই আঁধারে
স্মৃতিরা সব খেলা করে
রয় শুধু নির্জনতা
নির্জনতায় আমি একা
একবার শুধু চোখ মেলো
দেখো আজ পথে জ্বালি আলো
তুমি আবার আসবে ফিরে
বিশ্বাসটুকু দু’হাতে আঁকড়ে ধরে
আমার সব গান ধূলোয় মিশে যেতে চায়
অস্তিত্বের প্রয়োজনে
চাই তোমাকে এখানে
আমি রয়েছি তোমার অপেক্ষায়
নিকষ কালো এই আঁধারে
স্মৃতিরা সব খেলা করে
রয় শুধু নির্জনতা
নির্জনতায় আমি একা
একবার শুধু চোখ মেলো
দেখো আজ পথে জ্বালি আলো
তুমি আবার আসবে ফিরে
বিশ্বাসটুকু দু’হাতে আঁকড়ে ধরে।
—————
ব্যান্ড: পেপার রাইম